[ad_1]
দিনলিপি_
ঢাকা থেকে ফেরার এক মাসের মাথায় একটু হাঁটতে বের হয়েছিলাম। আকাশে মধ্য শা'বানের পূর্ণ চাঁদ। ছোটবেলার মতোই চাঁদটা হাঁটতে হাঁটতে সঙ্গ দিচ্ছিল। ঠাণ্ডায় কেঁপে কেঁপে আমি দরজা দিয়ে ঢুকে পড়ার আগ পর্যন্ত। আজকে একজন জিজ্ঞাস করছিলো, ঢাকায় কেমন কাটালে? বাচ্চারা দুই মাস ধরে তাদের বাবাকে না পেয়ে অস্থির হয়েছিলো আর আমি আমার বাবাকে পেয়ে ভালো ছিলাম।
সুলতান ডাইন নামের এক হোটেলের খাবার মাল্টিপল টাইম খেলাম এবার ঢাকায়। আমার বোনের বেশ পছন্দ দেখে, সেই কয়বার বাসায় এনে খাওয়ালো। টেস্ট খারাপ না, বাট কাচ্চির এক প্যাকেটে একগাদা পোলাও এর সাথে বিশাল বড় আলু আর টাইনি মাইনি ছোট্ট এক পিস মাংশ, দাম হিসেবে ডাকাতি মনে হয়েছে। ওমা, আজকে শুনি সেই মাংশ নাকি আবার খাসির মাংশ না! একজন দেখি আবার মিম বানিয়েছে, আমরা যখন খেয়েছি, খাসির মাংশই ছিলো। বাঙ্গালি পারে ও। ব্যাবসায়িক জাতি হিসেবে এই জাতি যে অত্যন্ত বর্বর প্রকৃতির তাতে সন্দেহ আছে? ডিসঅনেষ্টির এক শেষ। লোকে পয়সা দিচ্ছে ভালোটা খাবার জন্য। ভালোটা দিতে সমস্যা কোথায়? এই বিশেষ হোটেলের খাবার সত্য মিথ্যা যাই হোক, বাসি, পচা, মেয়াদ উত্তীর্ন খাবার যে দেশের নানান জায়গায় সার্ভ হয়, সেটা কে না জানে!
বিভূতিভূষণের আদর্শ হিন্দু হোটেলের হাজারির কথা মনে হচ্ছিলো। সে যে হোটেলে রাঁধুনির কাজ করতো, সেখানে পচা মাছ হোটেলের খরিদ্দারদের খাওয়ানো হতো বলে সে খুব মন খারাপ করতো। পদ্মঝি সবসময় ধান্ধায় থাকতো কিভাবে বাসি জিনিস খাইয়ে, পচা মাছ ভেজে পরেরদিন সার্ভ করে, খরচ কমানো যায় হোটেলের। বিভূতিভূষণের বর্ননাগুলো এত চমৎকার, চোখের সামনে ভাসে গোটা গল্পটা। হাজারি কিন্তু ঠিক সৎ থেকে তার নিজের হোটেল দিয়ে দেখালো সততার সাথে বিজনেস করতে পারলে কেউ ঠকে না আসলে।
[ad_2]
আমার ফেসবুক প্রোফাইলে প্রথম প্রকাশিত