November 2, 2022

আপনি যখন একজন নারী, যিনি সংসার করেন এবং বাচ্চাদের প্রাইমারী কেয়ার গিভার, তখন আপন...

[ad_1]
আপনি যখন একজন নারী, যিনি সংসার করেন এবং বাচ্চাদের প্রাইমারী কেয়ার গিভার, তখন আপনার একান্ত নিজস্ব কাজ, পড়াশুনা এগুলো আপনার প্রায়োরিটি লিস্টে একদম নীচের দিকে থাকে অধিকাংশের জন্য। অন্যসব কাজ শেষ করতে পারলে তারপর এগুলো। প্রতিদিনের খাবারের ব্যবস্থা, বাচ্চাদের মিনিমাম টেইক কেয়ার এগুলার পর যদি আপনি সময় বের করতে পারেন, আপনি নিঃসন্দেহে ভাগ্যবতী। বেশীরভাগ মায়েরদের কমন কথা, মি টাইম কিভাবে বের করবো? খাওয়া, চুল আঁচড়ানোরও তো সময় পাই না। কথা সত্য। নিদেনপক্ষে নিজের স্যানিটি মেইনটেইন করতে যে মিনিমাম মি টাইম দরকার সেও আমাদের বের করতে কষ্ট হয়ে যায়।

নারীদের জ্ঞান অর্জন বিষয়ক আলোচনা শুনলাম। আমার সাড়ে নয় বছরের সংসার জীবন দিয়ে যা বুঝলাম, নারী হিসেবে আপনার যদি আসলেই জ্ঞান পিপাসা থাকে, তাহলে নিজের কমফোর্ট জোন থেকে বের না হলে, পারবেন না। সব পরিবার বা সবার ক্ষেত্র যে সমান হবে, তা না। আমি আমার নিজের কিংবা আশেপাশের পরিচিত, স্বল্প পরিচিত নারীদের দেখছি। এক একজন এক একরকম যোদ্ধা। কি দুনিয়াবি, কি দ্বীনি জ্ঞান, আপনি যদি মনে করে থাকেন, আপনার জ্ঞান অর্জনের জন্য কেউ ক্ষেত্র সাজিয়ে বসে থাকবে, তাহলে বোকার স্বর্গে বাস করছেন।

উপমহাদেশীয় সেক্যুলার বা দ্বীনি ক্ষেত্র কোথাও নারীকে ছাড় দিতে রাজি না। সে তার সবটুকু সময় নিংড়ে বের করে দিলেও, এনাফ হয় নি, ডিক্লেয়ার করে বসবে আশপাশ। অনেক মেয়েদের বলতে শুনি, ইশ, দিনে চব্বিশ ঘণ্টার বদলে আটচল্লিশ ঘণ্টা হতো! প্রতিদিনের কাজ ফুরায় না। সেখানে সব সামলে বেশীরভাগের হয়ত পত্রিকাটাও হাতে নেয়া হয় না। কুরআন পড়ার সময় নাই। সলাহ কোনরকম পড়ে দিনপার।

কমফোর্ট জোন থেকে বের হওয়ার মানে প্রায়োরিটির জায়গাকে আরেকটু নাড়াচাড়া দেয়া। হয়ত ঘুম কম হবে, রেস্ট কম হবে, ঘরদোর একদম ছবির মতো নীট এন্ড ক্লিন থাকবে না, বিনোদন কম হবে, এসব জায়গা থেকে যতটুকু পারা যায়, সময় কুড়িয়ে নেয়া। বলতে যেমনি শোনাক, সহজ না কিন্তু! যদি বের করেও নেন, তারপর ভুলে যান আপনি নিরবিচ্ছিন্ন সময় পাবেন যদি আপনার ছোট বাচ্চারা থাকে। সবাই ঘুমানোর পর গুছিয়ে রাতে বসলেন, একটু পরপর আপনাকে নানান জনের নানান দরকার হবে। হয়ত অনেক কষ্ট করে একটু কনসেন্ট্রেশন আনলেন, তো কারো না কারো প্রয়োজন মেটাতে গিয়ে সবটা আবার গেলো। হাল ছেড়ে দেয়াটাও অস্বাভাবিক না।

জ্ঞান অর্জন মেয়েদের জন্য ফরজ না বলে তাকে এক কথায় দূরে সরিয়ে রাখতে কেউ কসুর করে না। অন্য সব বাদ দিলাম, খালি কুরআন জেনেবুঝে শুদ্ধ করে পড়তে যে জ্ঞানের দরকার, সেটার জন্য ছাড় দিবে না কোত্থাও। তো আপনি কোন এক সময় ছাড় পাবেন, এই আশায় বসে থাকলে, জীবন শেষ। সবার শেখার ইচ্ছা থাকবে, পড়াশুনার ইচ্ছা থাকবে, এমন না কিন্তু! কিন্তু যাদের ইচ্ছা আছে, যারা কমফোর্ট দূর রেখে হলেও টিপেটিপে সময় বের করে নেন, তাদেরকে যদি যৎসামান্য সম্মান করতে না পারি, তাহলে তার জন্য আল্লাহ্‌র কাছে জবাবদিহিতা থাকবে বৈকি!
[ad_2]

আমার ফেসবুক প্রোফাইলে প্রথম প্রকাশিত

4 comments on “আপনি যখন একজন নারী, যিনি সংসার করেন এবং বাচ্চাদের প্রাইমারী কেয়ার গিভার, তখন আপন...”

  1. নিজের সিল্কি চুলে জট বাধবে, বড় চুল এখন কেটে কেটে ছোট করে রাখি যদি সময়টা বাঁচানো যায়😔

  2. যখন বাচ্চা ছোট ছিল তখন শুধু শুনতাম ( ওয়াজ, লেকচার,খুতবা, ebook, q&a session)।
    এখন একটু বড় হওয়ার পর দ্বীন বিষয়ক কিছু পড়তে শুরু করেছি। ঘুম, বিশ্রাম, বিনোদন, মি-টাইম বলে তখনো কিছু ছিল না, এখনো নেই। তবে 'যথেষ্ট করা হয় না' অভিযোগ শেষ হবার নয়। তাই নিজেকে কিছুটা বধির বানিয়ে মাড়ি কামড়ে ধরে আছি মরিয়া হয়ে। মেয়েদের একদম অথর্ব হওয়া/মৃত্যু পর্যন্ত ছুটি হয় না। এর মধ্যেই যতটুকু পারা যায় করে নিতে হবে। সবচেয়ে বেষ্ট অপশন, বিয়ের আগেই সব ইলম অর্জন করে নেওয়া - জীবনের অভিজ্ঞতা!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Copyright © Afifa Riahana
Designed by Thinkpool
linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram