[ad_1]
ছেলের মা_
দুই ফেইসবুক পেইজের দুই ঘটনা। দুটোই মেয়েদের গ্রুপ। একজন জানতে চাইছেন প্রেগন্যান্সীতে ছেলে সন্তানের জন্য কি আমল করা যায়? যিনি লিখেছেন উনার ফ্যামিলিতে সব মেয়ে। নিজেও দুই বা ততোধিক মেয়ের মা। মেয়ে জীবনের বঞ্ছনা থেকে বাঁচতে ছেলে কামনা করছেন। এই ধরনের প্রশ্ন নতুন দেখি নি। ঘুরে ফিরে নানান আঙ্গিকে এই একই টাইপ প্রশ্ন দেখেছি অনেক জায়গায়। প্রশ্নকর্ত্রী যেভাবে নিজের অবস্থা বর্ননা করেছেন, চোখে পানি চলে এসেছে।
একই দিনে অন্য আরেক গ্রুপে আরেক মায়ের জিজ্ঞাসা। ছেলে হয়েছে কয়েকদিন। বাচ্চাকে ব্রেষ্টফিড করাতে পারছেন না। হাজব্যান্ড সহ শ্বশুরবাড়ির সবার কথার বানে জর্জরিত। কেমন মা তুমি বাচ্চাকে খাওয়াতে পারো না? যে মা বাচ্চাকে ব্রেষ্টফিড করাতে পারে না, তার তো বেঁচে থাকার অধিকার নাই। মা ছাড়াই এই বাচ্চার জীবন চলে যাবে। সদ্য সিজারিয়ান হওয়া এক মায়ের মনের কেমন অবস্থা হতে পারে এসব কথায়!
আমরা এক অদ্ভুত সমাজ ব্যবস্থায় বাস করি। খুব কাঙ্ক্ষিত ছেলের জন্ম এখানে। মেয়ে হোক না হোক, ছেলে চাই ই। আবার ছেলে হলে, মায়ের ভূমিকাকে অনাহুত করতে কথা বা কাজের নানান বান রেডি। এই মাই একসময় ছেলেকে সমস্ত উজাড় করে দিয়ে নিজের কিছু না থাকার হীনমন্যতায় ভুগেন। যার দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ছেলের বিবাহিত জীবন পর্যন্ত গড়ায়।
বাঙ্গালী ছেলে কেন চায়? খুব সহজ হিসাব, ভবিষ্যতে ছেলে দেখবে। খাওয়া পরার ব্যবস্থা করবে। মোদ্দাকথা অর্থনৈতিক সুবিধার ব্যবস্থা হবে। মেয়ে মানেই খরচ। পড়াশুনা করাও, বিয়েশাদি দাও, পেলে পুলে অন্য বাড়িতে পাঠাও। ভালো খাবারটা, ভালো কাপড়টা পরিবারের ছেলেদের দেয়ারও ওই এক কারন। ছেলে হলেই ভবিষ্যতের পথ পরিষ্কার। নইলে মেয়ে বড় করার জন্য কুরআন-হাদিসে এত রিওয়ার্ডের কথা বলার পরও কেন ছেলের এত ডিমান্ড!
কয়টা ফ্যামিলি বাচ্চাদের জাস্ট আল্লাহ্র কাছ থেকে পাওয়া আমানত হিসেবে বড় করে? ভবিষ্যতের আর্থিক নিরাপত্তা কেবলই আল্লাহ্রও কাছ থেকে আসবে, এই চিন্তা করে ছেলে আর মেয়ে বাচ্চাদের একই চোখে দেখে? সমাজের সামষ্টিক চিন্তা না বদলালে মায়ের ছেলেকেন্দ্রিক হাহাকারও মিটবে না।
[ad_2]
আমার ফেসবুক প্রোফাইলে প্রথম প্রকাশিত
আরও আছে মেয়ে পালা অনেক সহজ। তুমি কি বুঝবা ছেলে যে কি জালায়