December 26, 2022

ঢাকার ডায়েরী_ ঢাকায় এসেছি দেড় মাস। এই সময় কতবার, কত ভাবে, কতজনের কাছ থেকে শুনলা...

[ad_1]
ঢাকার ডায়েরী_
ঢাকায় এসেছি দেড় মাস। এই সময় কতবার, কত ভাবে, কতজনের কাছ থেকে শুনলাম, ও তুমি তো কাজ করো না। মানে চাকরি করি না। কিন্তু ইন জেনারেল লোকে কাজ শব্দটাই ইউজ করে। আমি তাহলে কি করি? সারাদিন পায়ের উপর পা তুলে বসে থাকি? সাত বছর ও তার নীচে তিনটা বাচ্চার প্রাইমারী কেয়ার গিভার আমি, যাদের হোমস্কুলিং করাই, এবং কেউ ডে কেয়ারে যায় না। প্রতিদিনের খাবার ব্যবস্থা থেকে শুরু করে বাসার ভিতরের কাজও অলিখিতভাবে আমার। আমার কোন হেল্পিং হ্যান্ড নেই। এই লাইফ আমার নিজের চুজ করা। জোরপূর্বক চাপিয়ে দেয় নি কেউ। একঘেঁয়েমি লাগে বৈকি (কোন কাজে লাগে না!), কিন্তু চরম অসন্তুষ্ট নই।

এখন বাংলাদেশী লোকজন কেন এটাকে তাদের প্রাণের দাবিতে পরিণত করেছে যে একটা মা বাসার বাইরে কাজে না যেয়ে, বাসার কাজ করলে, সে অবশ্যই কিছু করে না বলে কান ঝালাপালা করে দিতে হবে, এটাই আমার মাথায় ঢুকে না। দুইটা চাকরী, আরও দুইজায়গায় ইন্টার্নী, ওড জব, ভলান্টারি এক্টিভিটি করার এক্সপিরিন্স আমার আছে। কর্পোরেট জব করেছি, পড়িয়েছি। কিন্তু হোম মেকিং এর মতো কঠিন কাজ কোনটাকেই মনে হয় নি।

বাইরে কাজ না করলে লোকজন মনে করে নিশ্চয়ই অশিক্ষিত। নয়ত হেডম নাই। এমনকি পছন্দসই কোন কাজ চোখের সামনে করতে দেখলেও, এ আর এমন কি ঘোড়ার ডিম বলে তাচ্ছিল্য করা। আমি টোটালি ফেড আপ। কে কি বললো, ভাবলো তাতে কিছু এসে গেলো না। আই এম নট গনা চেইঞ্জ মাই পয়েন্ট অফ একশন। কিন্তু আমি পরিষ্কার বুঝতে পারি, একটা মায়ের মনোবল ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেয়ার মতো অসভ্য জাতির অভাব দুনিয়াতে নাই।

ইদানীং একটা লেখা ফেইসবুকে আকাশে বাতাসে ভাসে। মেয়েদের কাজ করা নিয়ে। এইরকম একটা অশালীন সমাজ ব্যবস্থায় মেয়েরা সম্মান খুঁজতে বাইরে যাবে, এটা তো খুব অস্বাভাবিক না! যতই নিজের প্রয়োজনে ঘরের রানী বলে বুলি কপচান, কথায় বার্তায়, খোঁচা দেয়া ধরনে, বাসায় শ্রম দেয়া মায়েদের ব্যাপারে আপনার চিন্তার দৈন্যতা ছাড়া আর কিছুরই প্রকাশ ঘটে না।
[ad_2]

আমার ফেসবুক প্রোফাইলে প্রথম প্রকাশিত

9 comments on “ঢাকার ডায়েরী_ ঢাকায় এসেছি দেড় মাস। এই সময় কতবার, কত ভাবে, কতজনের কাছ থেকে শুনলা...”

  1. লোকে কি বলে, তা যদি তুমি বলো; তবে লোকে কি বলবে? ইগনোর। এটা আমাদের মানসিক দৈন্যতা। কেউ কাজ করতে বাসার বাহিরে না গেলে মানুষ মনে করে সে বাসায় বসে ডিম পাড়ে আর বাসার কাজ জ্বীন পরী এসে করে দিয়ে যায়।

  2. দুই এক্সট্রিমেই মানুষ বেশি। কেউ মনে করে, বাইরে যায় মানেই নষ্ট মহিলা। আর কেউ ভাবে, ঘরে থাকে মানেই বাচ্চার মুখে বোতল ঠুসে সিরিয়াল দেখে।
    এদেশে বাঁচার একটাই উপায়, চোখ কান বন্ধ করে রাখা

  3. When you even willingly don’t go out for a so called job, some people get this approval of judging you as brainless and they get to say anything to you. That is the problem. তাদের মতে তোমার কি যোগ্যতা আছে! একটা ভালো চাকরি তো যুটাতে পারলানা।

  4. Apu, everybody has opinion! Majority of people here have some constructions, which they can rarely come out from! We, the people who have had your training sessions know you well in your professional capacity and how amazing human being you are! Pls ignore those opinions emitted from such constructions and go ahead with your chosen life. At the day end, its about living a satisfied life of your own!

  5. আমাদের দেশের মানুষের সমস্যা কি বুঝি না! আমরা কি জীবনেও ঠিক হবো না। জবাব দিয়ে দেয়া আমার স্বভাব, তবু আল্লার ভয়ে নিজেকে এখন একটু আটকাই। এসব অন্যায় কথা আসলে মানার মত না।

  6. Ignore them apu. They r trying to impose their inferiority complex and unsatisfied life energy into you. Ppl do it all the time, even some close one. Very unhealthy mentality.

    Just live your life the way you want. May Allah make it easy for you. Ameen.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Copyright © Afifa Riahana
Designed by Thinkpool
linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram