ঢাকার ডায়েরী_
ঢাকার রাস্তায় হাঁটলে একটা গন্ধ পাওয়া যায়। ময়লার গন্ধ, গাড়ীর ধোঁয়ার গন্ধ, সব ছাড়িয়ে এই শহরের নিজস্ব একটা গন্ধ। সেটা সব কিছু মিলিয়ে মিশিয়ে। বাসা বাড়ীগুলো থেকে রান্নার গন্ধ, মোড়ের দোকানে ডালপুরি ভাজার গন্ধ, ফুলের দোকানের কাঁচা ফুলের গন্ধ সব মিশে একাকার হয়ে বাতাসে ঘুরে বেড়ায়। কেমন ঘরোয়া একটা ব্যাপার আছে। তবে হাঁটতে হাঁটতে বেশীক্ষণ বুক ভরে নেয়া যায় না। ফাঁকফোকরের ময়লার গন্ধ এসে নাকে ধাক্কা দেয়।
এবার আগা থেকে গোড়া ঢাকা ঘুরে বেড়ালাম একজোড়া স্নিকার পড়ে। এমন কি বিয়ে পর্যন্ত খেতে গেছি সেই স্নিকারে। বিয়ে উপলক্ষ্যে বাসা থেকে বের হতে গিয়ে মনে পড়লো, আরেহ্, এই স্নিকার ছাড়া তো আমার পরার মতো আর জুতা নাই! তবে যে কোন ধরনের ট্রাভেল এ সবচাইতে আরাম জুতা হলো এই স্নিকার। ছোটবেলায় বড় হয়েছি কেডস বলতে বলতে। তখন অবশ্য স্কুলের জুতা ছিলো এই কেডস।
আমাদের কোন জায়গার প্রতি যে মায়া কাজ করে, তার সিংহভাগ আসে সেই জায়গায় যে কাছের লোকজনের সাথে আমরা সময় কাটাই, তাদের থেকে। মানুষ না থাকলে জায়গার মায়া মনে হয় না এত স্ট্রং হয়। জায়গাটা জায়গার মতোই থাকে, শুধু মানুষগুলো সময়ের সাথে সাথে নাই হয়ে যায়।
স্কুল/ কলেজ/ ইউনিভার্সিটির ফ্রেন্ডদের সাথে দেখা করলে কমন কথা থাকে, আগের সময়টাই ভালো ছিলো। আমাদের আসলে আগের সময়গুলো ভালোই থাকে। এমনকি বর্তমান অতীত হলে, তাকেও আমরা ভালোই পাই।
আমার ফেসবুক প্রোফাইলে প্রথম প্রকাশিত