December 28, 2022

ঢাকার ডায়েরী_ প্রায় দশ বছরে এইবারই ঢাকায় বেশি সময়ের জন্য এসেছি। স্কুল টুল না থা...


ঢাকার ডায়েরী_
প্রায় দশ বছরে এইবারই ঢাকায় বেশি সময়ের জন্য এসেছি। স্কুল টুল না থাকাতে এরকম হাত পা ছড়িয়ে আসা গেছে। সুবিধা অসুবিধা দুইই আছে। সুবিধা হলো আম্মুর ঘাড়ে বাচ্চাদের ফেলে দিয়ে (আম্মুর জন্য অসুবিধা, এটাই জগতের নিয়ম। একজনের সুবিধা, আরেকজনের অসুবিধা) দরকার মতো এদিক সেদিক যেতে পারছি। অসুবিধা হলো, বাচ্চারা অদ্ভুত জংলি আচরণ করছে। প্রথম প্রথম জিজ্ঞাস করতো, কবে ফেরত যাবো? এদের কাছে দিনের হিসাব যেহেতু ক্লিয়ার না, তাই আর কতবার ঘুমানোর পর ফিরবো, এটা জানতে চাইতো। এখন মেনে নিয়েছে। যার যার কাছে নিজের ঘর, নিজের জায়গা, নিজের লোক প্রিয়। এদের এখনকার পছন্দের কাজ হলো জানালার গ্রিল বেয়ে উপরে উঠে, বিছানায় লাফিয়ে পড়া। পুত্র দেখি ইদানীং কথাবার্তার ফাঁকে "আরে বাবারে! " ট্যাগ এড করছে।

বাচ্চাদের স্ক্রিন টাইম নিয়ে আমি খুশি না। এরা তিনবেলা নিয়ম করে টিভি দেখছে। টাইম আউটের পরও রিমোট নিয়ে টানাটানি। টিভিতে মাশা, পেপা পিগ, পো পেট্রোল (লাস্ট বার এসে এদের সাথে পরিচয়) ছাড়া মোটু-পাতলু নামে এক কার্টুন দেখছে, যেটার কথা কিছুক্ষণ শুনলেই আমার মাথা ঘোরানো শুরু হয়। আরো কি এক দুই ভাইয়ের কার্টুন দেখে, যাদের কাজই হলো একজন আরেকজনের পিছনে লাগা, খালি মিথ্যা বলে। এগুলা থেকে কিছুই নাই শেখার, কি আশ্চর্য! টিভি ছাড়লে আমি দেখেছি, এরা কেমন জম্বি হয়ে যায়। চোখের পলক পড়ে না! মুখে খাবার নিয়ে লাইন ধরে বসে থাকে! বেশি স্ক্রিন টাইম ইকুয়েলস টু বাচ্চাদের বেশি ট্যানট্রাম, বেশি অস্থিরতা। হাইরাইজ বিল্ডিং গুলোতে ছাদ ছাড়া কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই, কি করবে বাচ্চারা!

মাত্বত্ব প্রিনাটাল কোর্সের জন্য অদ্ভুত ভিডিও বানিয়েছি। অনেক দিন ধরে বানানোর কথা। এই বাহানা, সেই বাহানায় বানানো হচ্ছিলো না। এই করে পার হলো অনেকদিন। পরে এস্পার ওস্পার করে একদিন যুমে রেকর্ড করতে বসেছি দরজা বন্ধ করে। বাচ্চারা বাইরে হইচই, একটু পরপর জিজ্ঞাস করছে, আমার ইম্পর্টেন্ট কাজ কি শেষ হলো! ৫ বারের বার মনে হলো একটু পদের হয়েছে। সেই ভিডিও আজকে গ্রুপে পাবলিশ হওয়ার পর আমি নিজেই হেসে বাঁচি না! মানুষ কেমনে এইসব ভিডিও মিডিও, রিল ফিল, টিকটক বের করে! চেহারা দেখা যায় কি বিকট! এগুলা আমাকে দিয়ে মনে হয় না হবে।


আমার ফেসবুক প্রোফাইলে প্রথম প্রকাশিত

4 comments on “ঢাকার ডায়েরী_ প্রায় দশ বছরে এইবারই ঢাকায় বেশি সময়ের জন্য এসেছি। স্কুল টুল না থা...”

  1. চেহেরা না দেখিয়ে ভিডিও বানান ইন শা আল্লাহ, এ বিষয়ে অভিজ্ঞতা আছে এমন বোনদের সাহায্য নিন,দরকার হলে।আপনাদের কাজের জন্য দুয়া ও শুভকামনা রইল।

  2. আপনার চেহারা দেখে কিন্তু আমি অনেক শান্তি পাইসি আপু। কেমন আম্মা আম্মা হয়ে গেছেন! একদম আমার মতো! হা হা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Copyright © Afifa Riahana
Designed by Thinkpool
linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram