ঢাকার ডায়েরী_
বাসায় সারাদিন বাচ্চাদের নানান দোকান পাট চলছে। এই সবজির দোকান, রেস্টুরেন্ট- ক্যাফে ম্যারিনেড, এই কাপড়ের দোকান, এই জুতার দোকান- বাটা। তারা যাই দেখছে, বাসায় ফিরে সেটার দোকান দিয়ে দিচ্ছে। বাসা গুছানোর লোকের অবস্থা খারাপ। মৌচাক মার্কেটে নিয়ে গেছিলাম, আজকে দেখি মার্কেট দিচ্ছে, তার নাম মৌচাক। এতদিন প্রিটেন্ড কাগজের নোট হলেও, এখন দাবী টাকা দিতে হবে। পাঁচটাকা, দশ টাকা, ব্যাপার না। আজকে পুত্র ডিক্লেয়ার করেছে, সে হারি পতাশ দোকান দিবে। কি সেল করবে, শিওর না।
প্রায় দিনই শো'র প্ল্যান থাকে। কি পারফর্ম করবে, কিভাবে টিকেট বিক্রি করবে এসব। ড্রইং রুমের পর্দা ফেলে দিয়ে প্র্যাকটিস ও চলে। কন্যার সাজগোজের বাতিক হয়েছে। বিউটি পার্লার ও খোলে। খালার রেখে যাওয়া আইশ্যাডো প্যালেট, লিপস্টিক। ছোটজনও সেই প্যালেট হাতের নাগালে পেয়ে গালে মেখে নিয়েছে।
এই মিলেমিশে খেললো, তো এই ধুন্দুমার ঝগড়া, মারামারি। মানুষজনের সফিস্টিকেড, পলিশড বাচ্চা দেখে নিজেরগুলা জঙ্গলে গাছে ঝোলা বান্দর মনে হয়। তবে সবচাইতে ভয়ঙ্কর হলো, তাদেরকে আমি বকা দেয়ার জন্য যা যা বলি, সেগুলা তারা নানা-নানীর সাথে এপ্লাই করে। নিজে আর ভালো হতে পারলাম কই!
দেখতে দেখতে জানুয়ারি শেষ। বছর শুরু হতে না হতে মাসও গড়িয়ে গেছে। সময় ব্যাপারটাই একরকম ডিলিউশনাল। আসরের মতো ক্ষণস্থায়ী। আমাদের স্মৃতিগুলাই একসময় সাথে থাকে, টিল উই টার্ন ইনটু ডাস্ট।
আমার ফেসবুক প্রোফাইলে প্রথম প্রকাশিত
Abrar hari-patil er dokan dite chai 🙂