[ad_1]
ঢাকার ডায়েরী_
মাতৃত্ব প্রিনাটাল কোর্সের দ্বিতীয় ব্যাচ শুরু হলো আজ। প্রথম ব্যাচ শুরু করেছি অটোয়া থেকে, শেষ করলাম ঢাকায়। এবার দ্বিতীয় ব্যাচ শুরু হলো ঢাকা থেকে, শেষ হবে অটোয়ায়, ইনশাআল্লাহ্। এখন পর্যন্ত ঘটনাবহুল এই বছরের জানুয়ারি।
ঢাকায় মানুষের লাইফ বেশ স্ট্রেসফুল লাগছে এবার। সংসারের স্টেস, চাকরির স্ট্রেস, বাচ্চার স্ট্রেস, রাস্তার যানজটের স্ট্রেস, হেল্পিং হ্যান্ডের স্ট্রেস। স্ট্রেসময় দুনিয়া। মানুষের এত স্ট্রেসের ভীড়ে আমি বিন্দাস হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি। গত দুইমাসে কিচেনে বেয়ারলি ঢুকেছি। শ্বশুরবাড়ি না ঢুকলে হয় না দেখে ঢুকা। আম্মুর কিচেনে কি হচ্ছে, আই হ্যাভ নো আইডিয়া। সময়মত জিজ্ঞাস করছি, বাচ্চাদের কি খাবার আছে। স্বার্থপর শোনালেও কিছু করার নেই। আমার কিচেন অটোয়া থেকে হাতছানি দিচ্ছে। একবার আয় খালি!
একটা ইন্টারেস্টিং অবজারভেশন। ঢাকায় রিকশাওয়ালা এবং বাসা বাড়ীর হেল্পিং হ্যান্ড খালা এই গোষ্ঠীর কেবল পেট নাই। আই মিন, স্লিম! বাকী সবার ছোট থেকে বড়, কিউট থেকে কুৎসিত, নানান রকম ভুঁড়ি। সারাদিন বসে কাজ করা লাইফস্টাইলের মানুষের যা হয় আর কি।
ধানমন্ডি লেকের পাশে হাঁটতে যেয়ে অদ্ভুত সব যুগল দাঁড়িয়ে/ বসে থাকতে দেখলাম। এক জোড়ার এমন ঠাণ্ডা, এক সোয়েটারের তোলে দুইজন মাথা শুদ্ধ ঢুকেছে। এগুলাকে এক ধাক্কায় লেকে পাঠিয়ে দেয়ার ইচ্ছা প্রাণপণে চাপতে হলো। যে আপত্তিকর ভঙ্গিতে মানুষ দাঁড়ানো, এদের দেখে মনে হলো বিয়ে পর্যন্ত যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। তারপরও যদি কোনভাবে চলে যায়, আলু পটলের ইস্যু নিয়ে সকাল বিকাল চুলাচুলি ছাড়া আর কিছু করবে না।
রবীন্দ্র সারণীর মালাই চা কে ঢাকার বেষ্ট চা মনে হলো। কি সুন্দর মাটির সরায় খেতে দিলো! খেয়েদেয়ে আমি বিশিষ্ট টুকাই, কাপগুলা টুকিয়ে নিয়ে চলে এসেছি। এগুলা নাকি ডিসপোজেবল! ওদিকে আর যাওয়া হবে কিনা জানিনা, কিন্তু গেলে আবার মালাই চা খেতে চাই।
ভালো সময় দেশে গিয়েছ! শীতের পিঠা, বাণিজ্য মেলা, বই মেলা আরও কতকি!
কখন খাইলা? আমাকে নিলে না, কপিলা??!!!
Yes I feel that word stress....amar kace mone amra sobai life ke complicated kore felci ...ber hobar upay nai
Apni free thaken kokhon? Apnar sathe okhane boshe cha khete chai!
আপু আপনি বই লিখে ফেলেন। আপনার এই ছোট ছোট লেখা গুলো মারাত্মক সুন্দর! অল্পতেই অনেক কিছু বলে দেয়া!