[ad_1]
ঢাকার ডায়েরী_
মিউজিক ডেট্রিমেন্টাল। মানুষের মনের উপর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব সৃষ্টি করে বলে হয়ত। এর সাইকোলজিক্যাল প্রভাব বিবেচনা করে বিজনেসের ক্ষেত্রে খুব সিলেক্টিভ ওয়েতে ব্যবহার হয়। মনকে এত আচ্ছন্ন করে রাখে যে পিছনে ব্যাকগ্রাউন্ড গানের সাথে মনে হয় এটা সেটা কিনে ফেলি। আড়ং এ গিফট কিনতে গেছি। পিছনে বাজছে, বেজেই যাচ্ছে, বসন্ত এসে গেছে। উজ্জ্বল রঙ এমনিতে ভালো লাগে। কিন্তু ওই বাজনা শুনতে শুনতে মনে হচ্ছিলো উজ্জ্বল হলুদ, কমলা, ম্যাজেন্ডা টাইপ কিছু কেনা উচিত। এই রঙগুলোর উপর থেকে চোখ সরছিলোই না!
মাতৃত্বের রিপ্রেজেন্টেটিভ হিসেবে মিট যাইনাবের উইন্টার প্লে ডেট এ গেলাম আজকে বাচ্চাদের নিয়ে। সমমনা মানুষদের নিয়ে ভালো উদ্যোগ। অন্তত চেষ্টা হয়েছে, এটা দেখতেও ভালো লাগে। বাচ্চারা তাদের বন্ধুদের পেয়ে বেজায় খুশি। রাইডে চরলো, একসাথে বসে লাঞ্চ করলো (বেশিরভাগ আমার পেটে গেছে ঝালের বাহানায়), মেলায় নানান জিনিস কেনাকাটা করলো, গিফট নিয়ে বাসায় ফিরলো। বাসায় ফিরে এক পাজল মিলাতে মিলাতে এক্সপার্ট হয়ে গেলো। মজার ব্যাপার হলো ৫ টার দিকে যখন মূল ইভেন্টের বাইরে অন্য লোকেরা ঢুকা শুরু করলো, তখন পরিবেশটাই চেইঞ্জ হয়ে গেলো। এতক্ষণের বোরখা- হিজাব- নিকাব পড়া মায়েরা অদ্ভুত সাজপোশাকে বদলে গেলো, ধুম ধারাক্কা টাইপ মিউজিক শুরু হলো রেঁস্তোরায়। আমরাও তাড়াতাড়ি বের হয়ে এসে প্রাণে বাঁচলাম!