দিনলিপি_
ঠাণ্ডা একবারে কোনভাবে ধরতে পারলে হলো। আর ছাড়াছাড়ি নাই। গত বছর রোজায় শেষ দশদিন ছিলো। এইবার শুরু থেকেই। ছানাপোনাদের নাক দিয়ে বন্যা। টয়লেট পেপার টয়লেটের বদলে নাক মুছতে শেষ হয়ে যাচ্ছে। নুসাইবাকে শিখালাম কিভাবে বেসিনে নাক ঝাড়তে হয়। অদ্ভুত ব্যাপার। এটাও একটা স্কিল। ছোটবেলায় কোন এককালে শেখা, সারাজীবন কাজে লাগিয়ে যাচ্ছি।
থার্ড রোজা থেকে মসজিদে যাচ্ছি। সলাহ পড়া ম্যানাজ করাটা একটা কাজ। আমাদের লোকাল মসজিদে বাচ্চার মায়েদের জন্য বেইজমেন্টে ব্যবস্থা। ১০ বছর পর্যন্ত বাচ্চার মায়েদের জন্য এক রুম। দশের নীচের বয়সী বাচ্চার মায়েদের জন্য আরেক রুম। ট্যা ট্যা ভ্যা ভ্যা হবে এইটাই স্বাভাবিক। গত কয়েকদিন ধরে আবার বাচ্চাদের জন্য ডে কেয়ার এর ব্যবস্থা। টিএজ মেয়েরা বাচ্চাদের ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করে। বড় দুইজন সেখানে যায়। ছোটজনকে চেষ্টা করেছি রাখতে, খুব সুবিধা হচ্ছে না। সে কিছুসময় পরে কান্নাকাটি করে ফেরত আসে। এর মধ্যে একদিন ভাইয়ের সাথে দৌড়াদৌড়ি করে আছাড় খেয়ে শক্ত মেঝেতে পড়ে ঠোঁট ফাটিয়ে ফেলেছে। সলাহর মাঝখানে সে যখন কাঁদতে কাঁদতে আমার কাছ এসেছে, মুখভর্তি রক্ত দেখে সলাহ ছেড়ে দিয়ে দৌড়ে বাথরুমে নিয়ে গেছি, কিছু ভেঙ্গে গেছে কিনা দেখতে। তবে বাচ্চারা মসজিদ পছন্দ করে।
মার্চের শেষে এসেও ঠাণ্ডা যাওয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। যদিও অফিশিয়ালি বসন্ত। দিন আস্তে আস্তে বড় হচ্ছে। ইফতারে ভাজাপোড়ার ক্রেভিংস এক্সপোনেনশিয়ালি বাড়ছে। অন্য কিছু না হলে এট লিস্ট বুট পিঁয়াজু। আমার নানীকে দেখতাম তারাবী পড়ে, আবার লেফট ওভার বুট পিঁয়াজু খেতে। সিলসিলা বজায় রেখেছি। মসজিদ থেকে বাসায় ফিরে আবার বাটি নিয়ে বসে পড়ি। মানুষজন থাকে না। কিন্তু আমরা আমাদের স্বভাবে, অভ্যাসে, আচরনে পূর্বপুরুষদের ধরে রাখি।
আমার ফেসবুক প্রোফাইলে প্রথম প্রকাশিত
Safiyyah beshi betha paise? 😞
Forefathers: the deep rooted owners of the generation.