April 10, 2023

দিনলিপি_ রকেটের গতিতে রমাদান চলে যাচ্ছে। ছানাপোনা সহ মসজিদে যাই। কখনো ইফতারের ...


দিনলিপি_
রকেটের গতিতে রমাদান চলে যাচ্ছে। ছানাপোনা সহ মসজিদে যাই। কখনো ইফতারের আগে, কখনো পরে। ইশা, তারাবী কিভাবে যায়, একমাত্র আল্লাহ্‌ জানেন। ছোট বড় নিজের বাচ্চা, পাশের জনের বাচ্চা সামলে কমই কনসেন্ট্রেট করা যায়। অসম্ভব ইফোর্ট দেই, মসজিতে বাচ্চাদের ব্যস্ত রাখতে বা তারা যাতে অন্যদের বিরক্ত না করে। মাগরিবের আগে মসজিদের হালাকা শেষে বাচ্চারা দৌড়ে এক মাথা থেকে আরেক মাথায় যাচ্ছে। বয়স্ক এক মহিলা এসে বলছে, জানো, তুমি তো বাসায় সলাহ পড়লেই সওয়াব পেয়ে যাচ্ছো, এরকম ছোট বাচ্চা নিয়ে মসজিদে আসার দরকার কি? (এপার্ট ফ্রম আই এক্সট্রিমলি লাভ বিয়িং ইন মাসজিদ) বললাম, আমরা যে জায়গায় থাকি, সেখানে বাচ্চাদের মসজিদ না চেনালে, মসজিদের প্রতি ভালোবাসা গ্রো না করলে, এই জেনারেশন ডুমড। আসলেও তাই। তারপর তার পরামর্শ, তাহলে বাবাদের কাছে পাঠাও। এইবার হেসে ফেললাম। বাবাদের কাছে পাঠালে, বাবারাও আর মসজিদে আসবে না। এই প্যারা কেউ নিবে না, গ্যারেন্টেড।

ছোট কন্যাকে নানান ভাবে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করি। বেশীর ভাগ দিন, বেশীর ভাগ সময় সে নামাযে কোলে থাকে। নয়ত আশেপাশে ঘুরে ঘুরে ফিরে আসে। বেশীরভাগ দিন কান্নাকাটি চলে যখন অন্য বাচ্চারা তার আঙ্গুরের খালি বক্স নিয়ে টানাটানি করে, কি কাগজ রঙ পেন্সিল কেড়ে নেয়, কি মায়ের ব্যাগ টেনে নিয়ে যায়। আজকে একজন তার পেন্সিল কেড়ে নিয়ে সেটা দিয়ে গুঁতা দেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছিল। আরকজনের হাতে ফোন, সে বারবার সাফিয়্যার চোখের সামনে এনে ফোন দেখানোর চেষ্টা করছিলো। এটা যেহেতু মেয়ের জন্য নতুন, সেও খুব অবাক। পরে ফোন দেখানোর নামে তার কাছে যেতেই বিশাল এক ধাক্কা। ব্যাথার থেকে মেয়ে অপমানিত বোধ করেছে বেশি।

আমি প্রায়ই মায়েদের বিভিন্ন বয়সী, এমনকি সাফিয়্যার বয়সী পর্যন্ত বাচ্চাদের হাতে ফোন, আই প্যাড ছেড়ে দিয়ে দিতে দেখি! এমনকি মসজিদেও এই জিনিস এলার্মিং হারে বাড়ছে। দিজ আর সিমপ্লি নেভার এন অপশন টু মি। সেজন্য এগুলা দেখলে খুব অবাক লাগে। আমার প্যারেন্টিং ভালো না। কিন্তু স্ক্রিন ইজ নট সামথিং ইন মাই লিস্ট। আমি মিটিং করবো, দরকারি কাজ করবো, রান্না করবো, নামাজ পড়বো, হালাকা শুনবো, আর বাচ্চার হাতে ফোন, আই প্যাড থাকবে? তাহলে আমার অন্য কাজের দরকার নাই। এই জিনিস এবসোলিউটলি অপছন্দ করি। আমি কিছুতেই এই ব্যাপারে ডিসগাষ্ট হাইড করতে পারি না। জাস্ট কান্ট রেজিষ্ট!


আমার ফেসবুক প্রোফাইলে প্রথম প্রকাশিত

One comment on “দিনলিপি_ রকেটের গতিতে রমাদান চলে যাচ্ছে। ছানাপোনা সহ মসজিদে যাই। কখনো ইফতারের ...”

  1. কিন্তু অনেক মা,বাবা,মনে করা তাদের বাচ্চা গুলো ফোন,আই প্যাড নাড়াচাড়া করলে বা ভাল মনে করে।আসলে বাচ্চাদের দোষ দিয়ে কি হবে কারন তার মা,বাবা সচেতন নয়।আল্লাহ সকলকে হেদায়েত দান করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Copyright © Afifa Riahana
Designed by Thinkpool
linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram